মানবাধিকার ও সমাজসেবামূলক সংগঠন কলাবাগান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ১৯৯৮ সাল থেকে উত্তর ধানমন্ডি, লেকসার্কাস, বসিরউদ্দিন রোড, আবেদ ঢালী রোড, পশ্চিম পান্থপথ, গ্রীণরোডে (আংশিক), এই এলাকাগুলোতে সংগঠনের সমাজসেবামূলক কাজের অংশ হিসেবে নৈশ প্রহরী ব্যবস্থা পরিচালনা করে আসছিল।

পরবর্তীতে ২০০৯ সাল থেকে কমিউনিটির জনগনকে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের আরো কাছাকাছি আনার লক্ষে পুলিশ, সমাজসেবামূলক সংগঠন ও জনগনকে পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শকের নেতৃত্বে একটি “জাতীয় কমিউনিটি পুলিশ কো-অর্ডিনেশন কমিটি” গঠন করা হয়। তারই অংশ হিসেবে ডিএমপির সুপারিশক্রমে ও সহযোগিতায় কলাবাগান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ২০০৯ সাল থেকে পুলিশ এবং এলাকার সকল পেশা ও শ্রেণীর জনগনকে সম্পৃক্ত করে এই কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা পরিচালনা করে আসছে। এজন্যে কলাবাগান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ডিএমপির সহযোগিতায় ৩২ সদস্য বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী কার্যকরী কমিটি ও ১১ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয় যার মাধ্যমে এই কমিউনিটি পুলিশ পরিচালিত হয়ে আসছে।

জানা যায়, পূর্বের ধানমন্ডি থানা এবং বর্তমানের কলাবাগান থানা কর্তৃক আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশ এর প্রতিটি সভায় ডিএমপি থেকে কলাবাগান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি কে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং সংগঠন থেকে প্রতিটি সভায় সংগঠনের নির্দিষ্ট সদস্য/সদস্যা অংশ নিয়ে থাকেন।

সম্প্রতি এই কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা মানসম্মতভাবে ভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রতিমাসে পূর্বের মতই নিয়মিত ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা শুল্ক পরিশোধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করা হয়। কোন ক্রমেই ৫০ টাকার বেশী যাতে পরিশোধ করা না হয় তা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়। কেননা কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা কোন আইন শৃংক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনী নয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো আইন শৃংক্ষলা রক্ষায় পুলিশকে সহযোগিতা করা এবং নাগরিকদের সাথে পুলিশের একটি সুসম্পর্ক তৈরী করা।

২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশে প্রথমবারের মত “ কমিউনিটি পুলিশিং ডে” পালন করা হয় এবং তাতে অন্যান্য সমাজসেবামূলক সংগঠনের ন্যায় কলাবাগান ওয়েলফেয়ার সোসাইটিও অংশ নেয়।

এই কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে বানিজ্যিকীকরনের উদ্দেশ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড ১৭ এর অনভিজ্ঞ কাউন্সিলর মো: মাহবুবুর রহমান উত্তর ধানমন্ডি, লেকসার্কাস, বসিরউদ্দিন রোড, আবেদ ঢালী রোড, পশ্চিম পান্থপথ, গ্রীণরোডে (আংশিক), এই এলাকাগুলোতে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বাড়ি বাড়িতে চিঠি পাঠান। তাতে তিনি কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে সিটি কর্পোরেশনের এখতিয়ার বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি আগামী অক্টোবর থেকে ৫০ টাকার পরিবর্তে প্রতিটি বাসা থেকে ১০০ টাকা চাঁদা দাবী করা হয় এবং তা প্রদান না করলে মৌখিকভাবে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে। এনিয়ে জনমনে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

কাউন্সিলর মো: মাহবুবুর রহমান এর এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অচিরেই কলাবাগান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শকের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় কমিউনিটি পুলিশ কো-অর্ডিনেশন কমিটিকে লিখিত আকারে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  

এ ব্যাপারে কাউন্সিলর মো: মাহবুবুর রহমান এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি ।