আনন্দের সংবাদ। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি যুক্তরাজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘টার্নিং পয়েন্ট’, কারণ এর মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কর্মসূচির ব্যাপক সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হল, যার লক্ষ্য হবে মানুষের জীবনকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিকতায় ফিরিয়ে আনা।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে ইতোমধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ওই টিকার প্রথম চালান দেশে পৌঁছে যাবে বলে এর আগে আশা প্রকাশ করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বিবিসি আরো জানায়, যুক্তরাজ্য সরকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে ১০ কোটি ডোজ টিকা নিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, যা দিয়ে ৫ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে।
যুক্তরাজ্য সরকার ডিসেম্বরের শুরুতে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার অনুমোদন দেওয়ার পর সেখানে ইতোমধ্যে ছয় লাখ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে।
ফাইজার-বায়োএনটেক বা যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি মডর্নার তৈরি টিকার তুলনায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংরক্ষণ, পরিবহন ও দেওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। তাছাড়া দাম কম হওয়ায় এবং সহজে উৎপাদন করা যায় বলে অক্সফোর্ডের টিকা করোনাভাইরাসের টিকা দান কর্মসূচিতে অনেক বেশি গতি আনবে বলে গবেষকরা আশা করছেন।
অক্সফোর্ডের টিকা রেফ্রিজারেটরের সাধারণ তাপমাত্রাতেই সংরক্ষণ করা যায়; ফলে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে এই টিকা পৌঁছানো তুলনামূলক সহজ। কিন্তু ফাইজারের টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মডার্নার টিকা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়, যা সাধারণ রেফ্রিজারেটরে সম্ভব নয়।
ফাইজারের মতো অক্সফোর্ডের টিকারও দুটো করে ডোজ নিতে হবে। ফাইজারের ক্ষেত্রে দুই ডোজের মাঝে তিন সপ্তাহের বিরতি থাকে। অক্সফোর্ডের টিকার দুই ডোজ নিতে হবে চার সপ্তাহের ব্যবধানে। সব মিলিয়ে অক্সফোর্ডের টিকা বহন ও সংরক্ষণ সহজ ।
বিবিসির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অক্সফোর্ডের টিকার প্রতি ডোজের দাম পড়বে তিন পাউন্ডের মত (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩৯ টাকা)। আর ফাইজারের টিকার দাম হবে ১৫ পাউন্ডের মত, মডার্নার টিকায় লাগবে ২৫ পাউন্ড।
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply