কলাবাগানের উত্তর ধানমন্ডির লেক সার্কাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় লাগোয়া বিশাল অট্টালিকাটি কনকর্ড রিজেন্সী। এই ভবনটি যখন নির্মিত হয় তখন ভবনটির জায়গার দক্ষিণ পাশে ছিল সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা। রাস্তাটির উত্তর পাশে ছিল নির্মিত ভবনটির মালিকের সম্পত্তি। কনকর্ড দক্ষিণের রাস্তাটি তাদের নকশার সাথে এক করে প্লান পাশ করায় এবং উত্তর ধানমন্ডির সাথে পশ্চিম পান্থপথে সংযোগ সড়কের ব্যবস্থা করে।
কেননা কনকর্ড দক্ষিণের রাস্তাটি তাদের নকশার সাথে এক না করলে কনকর্ডের পার্কিং এ কোন গাড়ি প্রবেশ করবে না। তাই আব্দুল মোনেম লিমিটেড এর প্রয়াত আব্দুল মোনেম এর উপস্থিতিতে একটি সমঝোতা হয় এবং কনকর্ড পান্থপথের সংযোগ সড়কটি কখনই বন্ধ করবে না বলে ওয়াদাবদ্ধ হয়। কিন্তু কনকর্ড অতীতে বিভিন্ন সময় নানান অজুহাতে রাস্তাটি বন্ধ করার চেষ্টা করে কেননা তারা রাস্তাটিকে তাদের ব্যক্তিগত রাস্তা হিসেবে মনে করার চেষ্টা করে। এমনকি ২০১৮ সালে ঢাকা ১০ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের গ্রীণরোডের রাজনৈতিক কার্যালয়ে একাধিকবার দেনদরবার করার পরও রাস্তাটি বন্ধ করা যায়নি। কেননা ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের একটিই নির্দেশ ছিল যে, জনগনের চলাচলের রাস্তা কখনও বন্ধ করা যাবে না।
অথচ বর্তমান কনকর্ড রিজেন্সী এপার্টমেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ এস. এ. খান তার একক সিদ্ধান্তে সংযোগ রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। এব্যাপারে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসোন্তষ বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে অচিরেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
অপরদিকে কলাবাগানে ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত লেক সার্কাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় যেন কনকর্ড টাওয়ারের ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। বিদ্যালয়টি এলাকাবাসীর বিশেষ করে গুলবাগ হাউজিং সোসাইটির উদ্যোগে ৬৬শতাংশ প্রদত্ত জমিতে প্রতিষ্ঠিত। অত্র বিদ্যালয় হতে দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গ শিক্ষা লাভ করে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় অত্র বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে কনকর্ড রিজেন্সী টাওয়ার এ বসবাসরত লোকেরা তাদের ব্যবহৃত নানান আবর্জনা (যেমন মদের খালি বোতল, কন্ডম, স্যানেটারী নেফকিন, সিগারেটের খালি প্যাকেট) লেক সার্কাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাদে ছুড়ে ফেলে। অতীতে বার বার অভিযোগ করেও কার্যকর কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
২০১৯ সালের ৯জুলাই বিদ্যালয়ে অবস্থানকালে ৮/ ৯ বছরের একজন ছেলের মাথায় ফুলের টবের ভগ্নাংশ ফেলে মাথা ফাটিয়ে আহত করে। বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায়। শুধু তাই নয়। কনকর্ড টাওয়ারের জেনারেটর তাদের ভবনের দক্ষিণ- পশ্চিম কোনে স্থাপন করে তার সমস্ত ধোঁয়া বিদ্যালয়কে উপহার দেয়। ফলে বিদ্যালয়ে অবস্থানরত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপক্রম হয়। ধোঁয়ার জন্য জেনারেটর বরাবরে অবস্থিত বিদ্যালয়ের সব গাছ মরে গেছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকবার অভিযোগ দেয়া হয়েছে কিন্তু কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। তাই খুব শীঘ্রই পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হবে।
কনকর্ড এর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভাড়াটিয়াকে হেনস্তা করার অভিযোগ: কনকর্ড রিজেন্সী এপার্টমেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। আর এর মুল হোতা হলেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ এস. এ. খান। সম্প্রতি উক্ত এপার্টমেন্ট এ সনাতন ধর্মাবলম্বী একজন ভাড়াটিয়াকে হেনস্তা করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় অভিযোগকারী সদানন্দ কুমার সাহা (আকাশ) কনকর্ড রিজেন্সী এপার্টমেন্ট এর একজন ভাড়াটিয়া এবং দীর্ঘদিন যাবত তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ফাইবার নেট লিঃ এর মাধ্যমে একই এপার্টমেন্টে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে আসছেন।
লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, সদানন্দ কুমার সাহা (আকাশ) কনকর্ড রিজেন্সী এপার্টমেন্ট এর একজন ভাড়াটিয়া এবং দীর্ঘদিন যাবত তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ফাইবার নেট লিঃ এর মাধ্যমে একই এপার্টমেন্টে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে আসছেন। দীর্ঘ ৫/৬ বছরে কোন সমস্যা না হলেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে কিছুদিন পূর্বে কনকর্ড রিজেন্সী এপার্টমেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক একক সিদ্ধান্তে মোঃ এস. এ. খান তার প্রতিষ্ঠানের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং এতে করে কনকর্ড রিজেন্সী এপার্টমেন্ট এর গ্রাহকরা যেমন ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তেমনি সদানন্দ কুমার সাহা (আকাশ) এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ফাইবার নেট লিঃ বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সদানন্দ কুমার সাহা (আকাশ) কনকর্ড রিজেন্সী এপার্টমেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ এস. এ. খান সাথে (০১৭১৫২৩৩৩০৫) যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ইন্টারকমের মাধ্যমে কনকর্ড রিজেন্সী এপার্টমেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতিসহ অন্তত সাত (৭) জনকে বিষয়টি অবহিত করে সমাধানের অনুরোধ করেন। কিন্তু সদানন্দ কুমার সাহা (আকাশ) এর কোন বক্তব্য না শুনে বিষয়টি এরিয়ে গিয়ে ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সদানন্দ কুমার সাহা (আকাশ) বসবাসরত ফ্ল্যাটের বাড়ীওয়ালাকে এই মর্মে প্রলুব্ধ করেন যাতে করে, সদানন্দ কুমার সাহা (আকাশ) ফ্ল্যাটটি যেন ছেড়ে দেন। ইতিমধ্যে মোঃ এস. এ. খান সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য সদানন্দ কুমার সাহা (আকাশ) এর ব্যাপারে কনকর্ড রিজেন্সী এপার্টমেন্ট এর অন্যান্য বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের মাঝে কুৎসা রটাতে থাকেন। আপতদৃষ্টিতে বিষয়টি একটি আর্থিক ও ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা বা দ্বন্দে পরিনত হয়েছে।
এক পর্যায়ে সদানন্দ কুমার সাহা (আকাশ) স্বয়ং কলাবাগান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে পরপর দুইবার চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি সামাজিকভাবে নিস্পত্তির চেষ্টা করা হলেও কনকর্ড রিজেন্সী এপার্টমেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতির কেউ সাড়া দেননি। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং তা সামাজিকভাবে নিস্পত্তির জন্য চেষ্টা করেও কোন সুরাহা না হওয়ায় সমাধানের জন্য বাংলাদেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া আর বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন কলাবাগান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কর্মকর্তাবৃন্দ। তবে অনেক দেনদরবারের পর বিষয়টি সুরাহা হয়েছে বলে জানা যায়।
কনকর্ড রিজেন্সী এপার্টমেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক তার প্রতিষ্ঠানের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং এতে করে কনকর্ড রিজেন্সী এপার্টমেন্ট এর গ্রাহকরা যেমন ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তেমনি সদানন্দ কুমার সাহা (আকাশ) এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ফাইবার নেট লিঃ বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সদানন্দ কুমার সাহা (আকাশ) (০১৭১৫২৩৩৩০৫) এই নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ইন্টারকমের মাধ্যমে কনকর্ড রিজেন্সী এপার্টমেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতিসহ অন্তত সাত (৭) জনকে বিষয়টি অবহিত করে সমাধানের অনুরোধ করেন। কিন্তু সদানন্দ কুমার সাহা (আকাশ) এর কোন বক্তব্য না শুনে বিষয়টি এরিয়ে গিয়ে ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সদানন্দ কুমার সাহা (আকাশ) বসবাসরত ফ্ল্যাটের বাড়ীওয়ালাকে এই মর্মে প্রলুব্ধ করেন যাতে করে, সদানন্দ কুমার সাহা (আকাশ) ফ্ল্যাটটি যেন ছেড়ে দেন। ইতিমধ্যে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য সদানন্দ কুমার সাহা (আকাশ) এর ব্যাপারে কনকর্ড রিজেন্সী এপার্টমেন্ট এর অন্যান্য বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের মাঝে কুৎসা রটাতে থাকেন যা কিনা মানবাধিকারের চরম লংঘন। আপতদৃষ্টিতে বিষয়টি একটি আর্থিক ও ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা বা দ্বন্দে পরিনত হয়েছে।
এব্যাপারে কনকর্ড রিজেন্সী এপার্টমেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ এস. এ. খান এর সাথে ০১৭১৫২৩৩৩০৫ নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply