ম্যাচের ৭ মিনিটে গোল করে সেলেসাওরা। হেক্সার মিশনে দলকে কোয়ার্টারে তুলতে প্রথম গোল করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। রাফিনহার বাড়ানো বল নেইমার ‘নো টাচ’ করে ছেড়ে দিলে পেনাল্টির মতো বল পাতিয়ে নিঁখুত শটে গোল করেন রিয়াল মাদ্রিদে খেলা ভিনি। বিশ্বকাপে গোলের খাতা খোলেন তিনি।
ছয় মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোল করে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এবার গোল করেন ইনজুরি থেকে ফেরা নেইমার জুনিয়র। রিচার্লিসনের আদায় করা পেনাল্টি নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে নেইমারের ট্রেড মার্ক স্লো মোশন দৌড়ে নেওয়া শট ও গোল ছিল দেখার মতো। এরপর ২৯ মিনিটে গোল করেন ব্রাজিলের স্ট্রাইকার রিচার্লিসন। লিড বাড়িয়ে নেন ৩-০। তার সার্বিয়ার বিপক্ষে গোলটি যদি আসরের স্বতন্ত্র সেরা গোল হয়। তবে কোরিয়ার বিপক্ষে গোলটি দলীয় অন্যতম সেরা।
প্রথমার্ধের ৩৬ মিনিটে দলকে ৪-০ গোলে এগিয়ে নেন মিডফিল্ডার লুকাস পাকুয়েতা। দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাক তোলেন ভিনিসিয়াস। গতির সঙ্গে ঢুকে পড়েন দক্ষিণ কোরিয়ার বক্সে। এরপর গোল মুখে নেইমাররা থাকলেও একটু দূরে থাকা পাকুয়েতা বল পাঠান। তিনি গোল করতে ভুল করেননি।
প্রথমার্ধে চারটি গোল করলেও গোল হওয়ার মতো তিনটি সুযোগ হারায় সেলেসাওরা। এর মধ্যে রিচার্লিসনের গতির সঙ্গে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে ফাঁকায় পেয়েও গোল মিস করা, পাকুয়েতার ফ্লিক করে গোল দিতে যাওয়া এবং রাফিনহার মিস চোখে লাগার মতো। রাফিনহা গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই গোল করার সুযোগ হারিয়েছেন। এই ম্যাচেও সবচেয়ে বেশি গোলের সুযোগ হারানো খেলোয়াড় তিনি।
ওই গোল মিসের সুযোগে ৭৬ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার সং হো একটি গোল শোধ করেন। তার বক্সের বেশ বাহির থেকে জোরের ওপর নেওয়া শট ফেরানোর সুযোগ ছিল না অ্যালিসনের। প্রথমার্ধে চারটি গোল খাওয়ার পরও দক্ষিণ কোরিয়া সেভাবে আক্রমণ তুলেছে, অন্তত একটি গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে খেলেছে তা প্রশংসার যোগ্য।
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply