দেশ ছেড়ে পাশের দেশে চলেছি আমরা দুজন স্বামী-স্ত্রী। উদ্দেশ্য চেন্নাইতে চিকিৎসা, তাও আমরা কলকাতা হয়ে টিকিট কাটি। ভারতে গেলে কলকাতা আমার যাওয়া চাই, এ আমার বড় প্রিয় শহর। আধ ঘণ্টার উড়ন যাত্রা শেষে কলকাতায় নেমে দেখি কলকাতা আছে কলকাতাতেই। এ এক আনন্দ নগর, মায়াবী শহর। এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সিতে যাত্রাপথে দেখি এ শহর যেন চলছে ধীর গতিতে, নড়তে নড়তে। একসময়কার বৃটিশদের শহর এই কলকাতায় ঐতিহ্য প্রাচূর্যে বর্ণিল। কলকাতায় আসলে আমি কেমন আনমনা হয়ে উঠি, উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠি। ইংরেজ শাসনামলে নবজাগরণের কেন্দ্র কলকাতা। রাজা রামমোহন থেকে সত্যজিৎ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর থেকে ডিরোজিও সবার পায়ের ধুলি নিয়ে ধন্য এই কলকাতা।
ইতিহাস বলে সেই কবে কোন আমলে ইংরেজ বেনিয়া জব চার্নক পালতোল জাহাজ নিয়ে নোঙর করেছিলেন সুতানটির ঘাটে। ক্যালকাটা রিভিউতে একজন লেখক জব চার্নককের সুতানটি অবতরণকে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। ১৬৯০ সালের কোন এক গরমের দিনে হুগলী নদীর তীরে ক্ষুদ্র সুতানটি গ্রামে এসে থামে কয়েকটি পালতোলা নৌকা। নৌকাগুলোর মাঝখানে বিশাল বজরা, তার মাস্তুলের আগায় পত পত করে উড়ছে বৃটিশ পতাকা। গ্রামবাসী দেখল একজন অদ্ভুত পোশাক পরা সুদর্শন পুরুষ, তার কোমরে মহিষের বেল্ট থেকে ঝুলছে সরু তলোয়ার। সাহেবটির ঘন ভ্র, কাঁচা পাকা গোঁফ, ধূর্ত চাহনি, গম্ভীর কন্ঠ দিয়েছে অভূতপূর্ব কাঠিন্য। ভদ্রলোক বজরা থেকে নামলে সুতানটির মানুষ তাকে অভিবাদন জানায়। সেই শুরু। এখানেই বসল কুঠি বাড়ি, চলল সওদাগিরি। পল্লী অঞ্চলে জাঁকিয়ে বসল বিদেশি বাণিজ্যের হাট।
শরৎচন্দ্রের বাল্য স্মৃতিতে পড়েছি ‘আমি এই প্রথম কলকাতা আসিলাম। এতবড় জমকালো শহর আমি আর দেখি নাই। বঙ্কিমচন্দ্রের বর্ণনাটা আরো চমকপ্রদ। নৌকা পথে কলকাতা আসিতে দূর হইতে কলকাতা দেখিয়া বিস্মিত ও ভীত হইলাম। অট্টালিকার পর অট্টালিকা, বাড়ির গায়ে বাড়ি, বাড়ির পিঠে বাড়ি, তার পিঠে বাড়ি, অট্টালিকার সমুদ্র, তাহার অন্ত নাই, সংখ্যা নাই, সীমা নাই। নৌকার এত অনন্ত শ্রেণী দেখিয়া মনে হইল এত নৌকা মানুষ গড়িল কি প্রকারে? নিকটে আসিয়া দেখিলাম তীরবর্তী রাজপথে গাড়ী পাল্কী পিঁপড়ের সারির মত চলিয়াছে’। এ থেকে বোঝা যায় একটি গ্রাম শহর হয়ে উঠলে চারপাশে বিস্ময়ের হুল্লোড় ওঠে। খুব সবুজ গ্রামটি ধীরে ধীরে মহানগর হয়ে মাথা উচু করে দাঁড়াল। গ্রাম্য কলকাতা শহর হয়ে উঠলে পাখি কমে যায়। পাখিহীন নগরে জীবনানন্দ আফসোস করে বলেছিলেন, ‘কলকাতা আমাদের, কলকাতা পাখিদের’।
কলকাতার এই তিন দিনের জীবনে আমরা দারুন মজা পাচ্ছি। একটা আস্ত রহস্য উপন্যাস ঘেঁটে দেখার আনন্দে আমরা বুঁদ হয়ে যিাচ্ছি। একটা শহর- সেখানে পিল পির করে হেঁটে চলা মানুষের জনস্রোত, খোল করতাল, ধূপধুনো, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ইট পাথরের ঠাসবুনোনের দালান, অগনিত যানবাহন, বাসট্রাকের গর্জন, ট্রামের নিনাদ, টানা রিকসা, বিপনী বিতান, ফেরিওয়ালার বিচিত্র ডাক, কফি হাউসের বুদ্ধিজীবীদের কফি কাপে তুমুল আড্ডা, রোয়াকে তরুণদের গেয়ে ওঠা নচিকেতার গান, সাথে মাটির ভাঁড়ের চায়ে চলছে সাহিত্য, শিল্প, সিনেমা ও রাজনীতির গরম আলোচনা। সব দেখে মনে হয় একটা শহর খুব মাতাল, কবিতা ও গানে। থিয়েটার ও সিনেমায়। নাহ্ তাও নয়, যেন এইটেই গোটা পৃথিবী। নিদেনপক্ষে বিচিত্রতা ও বিভিন্নতায় বিশ্বের তিনভাগ কলকাতা, একভাগ জল।
কলকাতা এক আশ্চর্য শহর। এ শহর হেঁটে ঘোরা যায় পায়ে পায়ে। ‘কলকাতা তুমিও হেঁটে দেখো, ভেবে দেখো যাবে কিনা আমার সাথে? গানটির কথা মনে পড়ে। ইচ্ছে হলে দুলতে দুলতে ট্রামে দেখা যায় কলকাতা। দেখবে হেলে দুলে ছুটে চলেছে চিৎপুর রোড, বউ বাজার ও শোভা বাজার, চলেছে বাগবাজার ও শ্যামাবাজার খিদিরপুর থেকে ডায়মন্ড হারবার, সার্কুলার রোড ও কলেজ স্ট্রীট। কলকাতা ভ্রমণে কফি হাউস একটি অপরিহার্য গন্তব্য। কলকাতায় এসে কফি হাউজে আসব না তাতো হতে পারে না। আমরা সিমেট্রি দেখে দৌড়াই কফি হাউসে। আগের বারের চেয়ে কফি হাউস যেন একটু স্মার্ট হয়েছে। কলোনিয়াল পোশাক ছেড়ে পোস্ট কলোনিয়াল পোশাক পরে কফি হাউজ একটু চকচকে হয়েছে। কফি হাউজে ঢুকলেই মনে পড়ে এখানে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র সহ বিপ্লবীদের সাথে বিপ্লবের পথ ঠিক করেছেন। পথের পাঁচালীর স্ক্রিপ্ট পড়া হয়েছে এখানে। সমরেশ মজুমদার সুনীল গঙ্গোঁপাধ্যায় আমাদের দেশের বেলাল চৌধুরী সকলের আড্ডায় ধন্য। এখনো এখানে চলে টেবিলে টেবিলে তর্ক। কফির কাপে তুফান ওঠে কামু-কাফফা-নেরুদা নিয়ে।
প্রায় দেড় শতাব্দী পুরনো কফি হাউস দেখে আমরা মুগ্ধ হই। বিশাল হলঘর, মাথা উঁচু করে দেখতে হয় ছাদ –সেখান থেকে লম্বা স্ট্যান্ডে ঝুলছে পুরনো সব ফ্যান। রিজু ফিশ কাটলেট আর কফির অর্ডার দেয়। পাগড়ী পরা ওয়েটার এসে অর্ডার নিয়ে যায়। আমরা চারপাশ দেখতে থাকি। কে বলল কফি হাউসের সেই আড্ডাটা নেই? আজো আছে সে আড্ডা। আড্ডা থাকবেই। চারপাশের টেবিলে বসা মান্নাদের গানের চরিত্রদের খুঁজে ফিরি। আমাদের টেবিলের দুপাশে তারুণ্য ছলকে উঠছে, প্রবীনের প্রজ্ঞাও আলো ছড়াচ্ছে। বন্ধুদের নিয়ে দারুন আড্ডা হচ্ছে বেশিরভাগ টেবিলে। ঐ তো সেই মঈদুল ঢাকা ছেড়ে সত্যি এখানে। সুজাতা ও নিখিলেশও হাসছে প্রাণ খুলে। গানে মান্নাদে বলেছেন অমলটা ধুঁকছে ক্যান্সারে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে ক্যান্সার তার সেরে উঠেছে। সে ধোঁয়া ওঠা কফির কাপে মুখ ডুবিয়ে বন্ধুদের সাথে স্বপ্ন দেখছে নতুন কিছু করার। মানুষ অনেকটা দ্বপের মত, যে কোন সময় ডুবে যায় নোনা জলে। আবার প্রকৃত মানুষ পেলে ওঠে দাঁড়ায়, জেগে ওঠে দ্বীপ। আমি সেই সব মানুষদের বন্ধু বলি। সেই সব বন্ধুদের জন্য অমল উঠে দাঁড়িয়েছে। আজ সে কফি হাউজের একজন ভাবতে ভালো লাগে। নাহ এখানে বেশি বসা যাবে না। রিজু তাড়া দেয়। আমার চমক ভেঙ্গে যায়।
কফি হাউজের চারপাশে কলেজ স্ট্রীট। নামী দামী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কলেজ স্ট্রীটের বই পাড়ায় কাটানো যায় গোটা একটা দিন। মিত্র ও ঘোষ প্রতিষ্ঠানে ঢুকে আমি শ্রীপান্থের কলকাতা, সবিতেন্দ্রনাথ রায়ের কলেজ স্ট্রীটে সত্তর বছর, বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের অভিযাত্রিক কিনি। কিনতে ইচ্ছে করে অসংখ্য বই। বই এর সম্মোহনী সাম্রাজ্যে আমরা হারিয়ে যাই। শুনতে পাই এখানকার কাছাকাছি বাড়িতে থাকতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী, বিভুতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় ও দক্ষিণারক্ষন মিত্র মজুমদারের মতে বিখ্যাত মানুষ। কলকাতার যে দিকে তাকাই সেখানে ইতিহাস ও ঐতিহ্য। সে জন্য কলকাতা আমার এত ভাল লাগে। কলেজ স্ট্রীটে শাড়ির দোকানও অনেক। কলকাতায় এলে শাড়ি কিনতেই হবে। সুতী ও সিল্ক শাড়ি আমার পছন্দের শাড়ি। শাড়ি কেনার জন্য একটু সময় না কাটালে হয়।
চায়না টাউন যেন শহরের ভেতর লুকিয়ে থাকা অচেনা এক শহর। হাঁটতে হাঁটতে আমরা আবিষ্কার করি কলকাতার আলোয়ানের ভেতর লুকিয়ে আছে আস্ত এক বেজিং শহর। কলকাতার পূর্ব এলাকার টেরিটি নামের জায়গায় আমরা হাঁটতে হাঁটতে দেখি নতুন এক শঙ্কর শহর – না কলকাতা, না বেজিং। টেরিটি নামের জায়গাটা অনেকের কাছে পরিচিত না। নিউমার্কেট এলাকায় এসে টেরিটি এলাকা বললে দুএকজন মাথা নেড়ে চলে যায়। এক অল্পবয়সী ছেলে বলল, ‘দিদি আপনারা কি চায়না টাউন যাবেন?’ ব্যস এবার রিক্সায়, ট্রামে, বাসে সব পথের সন্ধান পেলাম। আমরা ধন্যবাদ দিয়ে চলে আসতেই দৌড়ে এল ছেলেটি – ‘বাংলাদেশ থেকে এসেছেন তো? চায়না টাউনের খাবার খেতে ভুলবেনা’। আমরা হেসে ধন্যবাদ দিলে ছেলেটি বলে আমি অভীক। এবার আমরা বলি ‘অভীক বেড়াতে এসো বাংলাদেশে’। অভীক কেমন আদ্র গলায় বলে, ‘ওখানকার ময়মনসিংহে আমার ঠাকুরদার বাড়ি। কোন্ ছেলেবেলায়’ গিয়েছিলাম কি শান্ত, সুন্দর শহর। আবার যাব বৈকি’।
‘কলকাতায় এত চীনে মানুষ এলো কি করে?’ চায়না টাউনে আমি হাঁটতে হাঁটতে রিজুকে বলি। রিজু মোবাইল দেখে বলে, এখানে চীনে মানুষদের আগমন সম্পর্কে নানারকম তথ্য পাচ্ছি। গুগল বলছে, পর্তুগিজদের হাত ধরে বিভিন্ন বন্দরে শ্রমিক হিসেবে আসেন চীনা নাগরিকরা। আমি এবার আমার মোবাইলে অনুসন্ধান করতেই পেয়ে যাই ইউরেকা। ইতালীয় নাগরিক এ এডওয়ার্ড তেরিতি বলে এক ধনী ব্যবসায়ী – চায়না টাউনের বিশাল জায়গার মালিক ছিলেন। তার নামেই ট্যাংরা নামের উৎপত্তি। তিনি এর মালিকানা হস্তান্তর করেন চার্লস ওয়েস্টনের কাছে। ওদিকে চীনের গ্রহযুদ্ধ আর দ্বিতীয় চীন – জাপান যুদ্ধের কারণে বহু চীনে মানুষ দেশ ছেড়ে চলে আসে কলকাতা বন্দরে। উনিশ শতকের মাঝামাঝি জমে ওঠে তখন চায়না টাউন। ওদিকে এই টাউন কত গল্প! নিয়ে চায়না টাউনের পেছনে আফিম ও জুয়ার আড্ডায় জমে ওঠে। এই চীনেরাই নাকি কলকাতায় চিনি কল তৈরি করে। চায়ের স্বাদে বৃটিশদের কাবু করে ফেলে এই চায়না টাউন। গল্প কিনা জানিনা, ওয়ারেন হেস্টিংস নাকি চায়না টাউনে ইয়ং তাই চায়ের দোকানে চা খেয়ে এই এলাকার বহু জমি লিখে দেন। ৬২ সালের চীন ও ভারত যুদ্ধে চায়না টাউনের ওপর নেমে আসে কালো অন্ধকার। যুদ্ধ বোঝে না প্রেম ও সংসার, মানুষ ও কবিতা। এই যুদ্ধে চায়না টাউনের চীনে মানুষরা পালাল, সবাই যেতে পারল না, রয়ে গেল কারুর ছেলে, কারুর ভাই। যুদ্ধের ইতিহাসে যা খুঁজে পাই তা শুধু মন খারপের ইতিহাস।
আমরা এবার ইতিহাস ফেলে বাস্তবে আসি। ক্ষিধে জানান দিচ্ছে। একটি খাবারের দোকানে বাঙলায় লেখা – ভারত মাতা কি জয়! আমরা এখানেই বসে পড়ি। মালিকের নাম খোই কুই। তিনি অর্ডার নিচ্ছেন বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি মিশিয়ে। আমরা হাসলে বলেন, পূর্ব পুরুষ চীনে হলে কি, আমি কালী মন্দিরে পুজো দেই। তাকে সাহায্য করছে কি মিষ্টি এক মেয়ে। রিজুর চোখ এড়ায় না। সে আলাপ জুড়ে দেয়। মেয়েটির নাম মনিকা, ভারতীয় নাম। সে বলছে, ‘আমি বাঙালী ভারতীয়’। কিন্তু চীনের উন্নয়নের কথা যখন শুনি তখন মনে হয় আমরা কি ঠিক করেছি? আমরা দাবী করছি আমরা ভারতীয়। কিন্তু ভারত এলে সবাই আমাদের এখানে দেখতে আসে কেন? ওর কথায় একটু মন খারাপের ঈঙ্গিত পাই। আমরা রীতিমত লজ্জা পাই। ও বলে, ‘ডোন্ট মাইন্ড’। তোমাদের মত সবাই আসে এখানে। তাইতো আমরা ব্যবসা করে যাচ্ছি। থোইকুই চাইনিজ ভাষায় মেয়েটির কাছে কিছু জানতে চান। আমাদের মনে হলো উনি জানতে চাইছেন নতুন উন্নয়ন পরিকল্পনায় চায়না টাউনে চায়নার ঐতিহ্য থাকবে তো? মেয়েটি আশ্বাস দেয়, ‘উই উড বি অলরাইট পাপা’। সত্যি বাবা মেয়ে মিলে কি দারুন দোকান চালাচ্ছে।
দোকানে এবার খাবার বাছাই এর পালা। চাউমিন, চিনি চিকেন, সিচুয়ান চিকেন, মাকুরিয়ান চিকেন, পিকিং রোস্ট, গ্যাৎ ব্যাৎ চিকেন,, ফিশ মমো, স্প্রীং রোলস রাজ্যের আয়োজন আছে সব দোকানেই। কলকাতার বাঙালী দাদারা লুচি সবজির বদলে মাঝে মধ্যে চাওমিন খাচ্ছেন। আমরাও চাওমিন নেই, সাথে গরম গরম মমো আর কফি, দাম মাত্র ৫০ রুপি। মনিকা এসে জানতে চায়, ডু ইউ লাইক আওয়ার ফুড? ‘উই লাভ ইয়োর ফুড’। আমাদের কথা শুনে মনিকার পুরো মুখে হাসি ছড়িয়ে পড়ে। ও বলতে থাকে, উল্টো দিকে একটু হাঁটলে সটো তাই নামে দোকান পাবে। ওখানে নানারকম সস পাওয়া যায়, কিনতে ভুলো না। ওই সস আর চাইনিজদের জন্য ভালবাসা দিয়ে বাঁধলেই হয়ে যাবে এইরকম ডিশ। বাহ দারুন রেসিপি। রিজু হেসে উঠল। এবার আমরা ছবি তুলে হাঁটতে থাকি। মনে পড়ে গেল মৃণাল সেনের ‘নীল আকাশের নীচে’ সিনেমাটার কথা। এক চাইনজ হকার ওয়াংলু এই কলকাতায় ফেরী করত সিল্কের কাপড়। এই ওয়াংলুর সাথে বাঙালী গৃহবধু বাসন্তীর গড়ে ওঠে প্রণয়। আসলে সবার জন্য একটা নীল আকাশ থাকলেও নেই সমতা। এক নীল আকাশের নীচে বসবাস করে বহু ধর্ম ও বিত্তের মানুষ-সেখানে সাম্য ও সমতার সন্ধান মেলে না সবসময়।কিন্তু আমরা তো গাহি সাম্যের গান ।
(প্রথম পর্ব)
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply