চলে গেলেন রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাদী মহম্মদ । বু্ধবার (১৩ মার্চ) আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সংগীতশিল্পী সাদী মহম্মদ ২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তার ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে তার ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
সাদী মহম্মদ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে শহিদ পিতার সন্তান। তার বাবার নাম শহিদ সলিমউল্লাহ। ১৯৭১ সালে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের সি-১২/১০ বাড়িটি ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা সলিম উল্লাহর বাড়িতে নিয়মিত বৈঠকে আসতেন দলের শীর্ষ নেতারা, আসতেন বঙ্গবন্ধুপুত্র শহিদ শেখ কামালও।
একাত্তরের ২৩ মার্চ তাজমহল রোডের সেই বাড়িতে সেজ ছেলে সাদি সাদী মহম্মদর আঁকা বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান বাবা সলিমউল্লাহ, সেই পতাকা সেলাই করে দিয়েছিলেন সাদী-শিবলীর মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ।
সেই পতাকা ওড়ানোর সূত্র ধরে একাত্তরের ২৬ মার্চ অবাঙালি বিহারি ও পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে সলিমউল্লাহর বাড়ি। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুরো বাড়ি, গুলি করে মারা হয় সলিমউল্লাহকে।
গত বছরের জুলাই মাসে সাদী মহম্মদর মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ মারা যান। জানা গেছে, এরপর থেকেই নাকি নানা কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এই সংগীত তারকা।
প্রথমিকভাবে তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তা জানা যায়নি। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে নীপা বলেন, ‘তার মা মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি একটা ট্রমার মধ্যে চলে যান। মানসিকভাবে স্বাভাবিক ছিলেন না। মা হারানোর বেদনা সম্ভবত তিনি নিতে পারেননি। বুধবার রোজা রাখলেন। ইফতারও করলেন। এরপরই তিনি নীরবে না ফেরার দেশে পাড়ি জমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করছি।’
তবে একাধিক দৈনিক পত্রিকা সাদী মহম্মদ আত্মহত্যা করেছেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
সংগীতশিল্পী সাদী মহম্মদ ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply