পর্দা নেমেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ২৯ দিনের মাঠের লড়াই শেষে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতেছে ভারত। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে ১৭ বছর পর সংক্ষিপ্ততম বিশ্ব আসরটির চ্যাম্পিয়ন হয় রোহিত শর্মার দল। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে বার্বাডোজের কেনিংসটন ওভালে শিরোপা উৎসবে মাতেন কোহলি-পান্ডিয়ারা। শিরোপায় চুমু এঁকেছেন তারা, জিতেছেন মোটা অঙ্কের অর্থ পুরস্কারও।
এবার মোট ১ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার প্রাইজমানি রেখেছিল আইসিসি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ পুরস্কার জিতেছে চ্যাম্পিয়ন ভারত। শিরোপা জেতায় তারা পেয়েছে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকারও বেশি। এ ছাড়া সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল বাদে প্রত্যেক ম্যাচ জয়ের জন্য ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার করে পেয়েছে তারা। সাত ম্যাচ জয়ে এই অঙ্কটাও কম নয়।
৩২ বছর এবং ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে আটবার সেমি-ফাইনাল খেলে অবশেষে ফাইনালের টিকেট কাটে দক্ষিণ আফ্রিকা। চোকারের তকমা ঝেরে ফেললেও এক ম্যাচ পরই তা ফিরে আসে। জেতার পথে থেকে হঠাৎ-ই দিক হারিয়ে ম্যাচ হারে প্রোটিয়ারা।
রানার্সআপ দক্ষিণ আফ্রিকার ঝুলিতেও যাচ্ছে মোটা অঙ্কের পুরস্কার। তারা পাচ্ছে ১২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ কোটি ৪ লাখ টাকারও বেশি। এ ছাড়া ভারতের মতো তারাও গ্রুপ পর্ব ও সুপার এইটের ৭টি ম্যাচ জেতায় ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার করে পেয়েছে।
সেমি-ফাইনাল থেকে বাদ পড়া দুই দল পাচ্ছে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ ডলার করে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ২৫ হাজারেরও বেশি। সুপার এইট থেকে বাদ পড়া চার দল পেয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। সঙ্গে ম্যাচ জয়ের বোনাস তো আছেই। সুপার এইট খেলা বাংলাদেশ প্রাইজমানি ও ম্যাচ জয়ের বোনাস মিলিয়ে মোট ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫৪ ডলার পেয়েছে। যা ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯১ হাজারেরও বেশি।
নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করা দলগুলোকে দেওয়া হচ্ছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ ডলার করে। ১৩ থেকে ২০তম স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করা দলগুলো প্রাইজমানি হিসেবে পাচ্ছে ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার করে। ১৫ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জেতা ভারতের পেসার জাসপ্রিত বুমরাহর পকেটে গেছে ১৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় বিরাট কোহলি পান ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply