আজ বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশন এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ এর যৌথ উদ্যোগে সংগঠনের ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা এবং ইকেবানার প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হয়। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশনের ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা এবং এর অন্যান্য ইকেবানা কার্যক্রমের এই অনুষ্ঠানের শুরুতেই সবাইকে অভিনন্দন জানান। তিনি ও তার স্ত্রী তমোমি ইওয়ামা ইকেবানা প্রদর্শণী দেখে মুগ্ধ হয়ে ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন ইকেবানার নান্দনিক সৌন্দর্য এবং আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ ইকেবানাকে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী পরিচিত করেছে।
বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশন এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ এর পরিচালক ফসোয়া গুজো। জাপানে ইকেবানার অনুশীলনকে ফুলের সাজসজ্জার একটি রূপের চেয়ে বেশি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি বরং একটি আধ্যাত্মিক শিল্প ফর্ম যার জন্য সৃজনশীলতা, কল্পনা, নান্দনিকতা এবং প্রকৃতির প্রতি ভালবাসা প্রয়োজন। এর নান্দনিক সৌন্দর্য এবং আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ ইকেবানাকে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী পরিচিত করেছে।
বিআইএ সদস্যরা কার্যক্রম পরিচালনা করেন, যেমন ইকেবানা ক্লাস, ওয়ার্কশপ, যা সবই বিআইএর বিভিন্ন স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন ২০২৩ সালে বিআইএ শুধু ঢাকায় নয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শহরেও ইকেবানাকে প্রচারের জন্য বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নভেম্বরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকেবানার সংস্কৃতি প্রচারে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অধিকন্তু, “বাংলাদেশে ইকেবানার ৫০ বছরের যাত্রার গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন” যা বাংলাদেশে জাপান দূতাবাস এবং বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে আয়োজন করেছিল গত বছর। বিআইএ-এর উদ্যোগগুলি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও শিল্প দৃশ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলবে। আমি আশা করি যে ইকেবানার অনুশীলন এদেশের স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর শিকড় গেড়ে উঠবে এবং জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে তৃণমূল বন্ধুত্বের স্থায়ী প্রতীক হয়ে উঠবে।
রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা ইকেবানা স্কুল থেকে ইকেবানা কোর্স সম্পন্ন করা শংসাপত্র হস্তান্তর করেন। ড. এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, একজন সাবেক বুয়েটের অধ্যাপক যিনি ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে জাপান থেকে ১০ বছর অধ্যয়ন করার পর ফিরে এসেছিলেন এবং জাপানে অধ্যয়ন এবং/অথবা প্রশিক্ষণ নেওয়া একদল বাংলাদেশি ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে দূতাবাসের প্রাঙ্গণে একটি ইকেবানা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ঢাকার শান্তিনগরে জাপান দূতাবাসে। বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী প্রয়াত শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন এবং জাপানের রাষ্ট্রদূত তাকেশি ওয়ামাদা ১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে প্রথম ব্যাচের ২৮ জন গ্র্যাজুয়েটের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। অনারারি সিইও মাসুদ করিম বলেন, জাপান দূতাবাস থেকে আমরা সব সময়ই সহায়ক সহযোগিতা পাচ্ছি। আগামী বছর জাপান দূতাবাসের মাল্টিপারপাস হলে আমাদের অনুষ্ঠান আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply