সারাদেশে সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আগামী দুই মাস সারাদেশে এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
এতে বলা হয়, ১৮৯৮ এর ১২ (১) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হলো। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ১৫ (২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৬, ১৩০, ১৫৩, ১৪২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮-এর ১৭(১) ধারা অনুযায়ী, ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করেছিল তৎকালীন সরকার। এরপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখনও সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
পোশাকশিল্পে অসন্তোষ দেখা দিলে শিল্পমালিকদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার দাবি ওঠে। একপর্যায়ে শিল্পাঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত ৯ আগস্ট সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা সেল গঠন করা হয়। এ সেলের তত্ত্বাবধানে শিল্প পুলিশ, র্যা ব ও বিজিবির সহায়তায় সাময়িক বন্ধ থাকা কারখানা চালু হয়েছে।
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply