সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাদীপক্ষে লড়বেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
বিষয়টি নিয়ে তিনি আজ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এডভোকেট শিশির মনির বলেন, এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এ পর্যন্ত আদালত থেকে ১১১ বার সময় নিয়েছেন। মামলাটি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তদন্তে রয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে হত্যার রহস্য এবং জড়িতদের সনাক্তে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপর আস্থা প্রকাশ করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, এই মামলার ধারাবাহিকতায় যে দুজনের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট এসেছে তা তদন্তের ভিত্তিতে শনাক্ত করতে হবে। এছাড়া র্যাবের কাছে থাকা এই মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দেয়ার জন্য আবেদন করা হবে।
হত্যায় বিগত সরকারের সময় গুরুত্বপূর্ণ কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে আড়াল করতে তদন্তে বাঁধা ছিলো কিনা বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তদন্তে তাও বের হয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন এডভোকেট শিশির মনির।
তিনি বলেন, আমরা সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করব। এর অংশ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুবই দ্রুত বৈঠক করব। একইসঙ্গে হত্যার রহস্য উন্মোচনে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো। নিম্ন আদালতে মামলাটির পরবর্তী ধার্য তারিখ আগামী ১৫ অক্টোবর।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার বাদী নওশের রোমান বলেন, এখন থেকে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাগর-রুনি হত্যা মামলার আইনি লড়াই করবেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। তাদের একমাত্র ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ (৫) সেসময় বাসায় ছিল। সাগর সে সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর শেরেবাংলা নগর থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিন দিন পর মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের ব্যর্থতার পর মামলাটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল। র্যাবের অতিরিক্ত এসপি খন্দকার মো. শফিকুল আলম মামলার সপ্তম তদন্ত কর্মকর্তা। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই তাকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়।
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply