অবশেষে বাংলা পেলো ভারতীয় ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা। নয়াদিল্লিতে ভারতের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন দেশটির তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘বাংলা, মারাঠি, পালি, প্রাকৃত ও অসমিয়া ভাষাকে ভারতীয় ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হলো। এর ফলে দেশের সাংস্কৃতিকগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভাষার তালিকা আরও প্রসারিত হলো। প্রধানমন্ত্রী মোদিজি সর্বদা ভারতীয় ভাষাগুলোর ওপর দৃষ্টি দিয়ে থাকেন। তারই ফলশ্রুতিতে আজ এই পাঁচটি ভাষাকে অনুমোদন দেওয়া হলো ভারতীয় ধ্রুপদী ভাষা রূপে।’
উল্লেখ্য, একটি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পেতে গেলে পূরণ করতে হয় ভারত সরকার নির্ধারিত বেশ কয়েকটি মানদণ্ড। যেগুলোর মধ্যে প্রথম ও অন্যতম হলো, সংশ্লিষ্ট ভাষাটির দেড় হাজার বছর বা তার বেশি পুরনো লিখিত নথি থাকতে হবে।
জানা গেছে, বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে দেড় হাজার বছরের থেকেও অনেক বেশি প্রাচীন নথির সন্ধান মিলেছে। ইতোমধ্যে দেশের ছয়টি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে ভারত সরকার। সর্বপ্রথম স্বীকৃতি পেয়েছিল তামিল ভাষা। তারপর একে একে সংস্কৃত, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম ও সর্বশেষে ২০১৪ সালে ওড়িয়া ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা হিসেবে বাংলাকেও ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি ছিল বহুদিন ধরেই।
অন্য দিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, আপামর বাঙালিকে এই পুরস্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে জল্পনা, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার।
ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদার জন্য ভারতের বিভিন্ন সংগঠন, ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা পরিষদের বিলোনীয়া শাখার সভাপতি, বিশিষ্ট গবেষক, লেখক কৃষ্ণকুসুম পাল, শিলিগুড়ির ভাষাপ্রেমী সজল গুহসহ ভারতের নানান প্রান্ত থেকে তথ্যউপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বিভিন্নজন।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা পরিষদের প্রথম সম্মেলন কলকাতার সল্ট লেকের রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সম্মেলনেই কেন্দ্রীয় পরিচালন পর্ষদের যুগ্ম সচিব ড. জয়ন্ত দাশগুপ্ত ধ্রুপদী ভাষার তাৎপর্য তুলে ধরেন। তার সেদিনের গবেষণাধর্মী বক্তব্য উপস্থিত ভাষাপ্রেমীদের মাঝে এর গুরুত্ব অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
(বিস্তারিত আসছে)
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply