বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সাকিবের অবস্থানের কারণে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভের কারণে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে দেশে আসতে পারেননি সাকিব আল হাসান। তবে এরপর থেকেই বিক্ষোভে মূখর হয়েছে সাকিব-ভক্তরা।
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট ম্যাচের ঠিক একদিন আগে রবিবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এলাকায় সাকিব আল হাসানের ফেরার পক্ষে সমর্থকর ও সাকিব-বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
এদিন সাকিবকে দেশে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামানো এবং বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পদত্যাগ নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন ‘সাকিবিয়ান’রা। কিন্তু সাকিব-বিরোধী একদল যুবক সেখানে গিয়ে তাদের বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এরপর সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সফর চলাকালে সংবাদ সম্মেলন করে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা জানিয়ে দেন সাকিব। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, সরকার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে দেশে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে জরিমানার মুখেও পড়তে হয়েছে এই অলরাউন্ডারকে। ফলে তার দেশে ফেরা নিয়ে জটিলতা ছিলই।
এরপর গত রবিবার সাকিবকে দেশে ফেরাতে সবরকম নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া। এমনকি বুধবার মিরপুর টেস্টের জন্য তাকে নিয়েই স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি।
কিন্তু পরের দিনই ঘটনা বিপরীত দিকে মোড় নেয়। ১৭ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের অবসান করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের পথে ছিলেন সাকিব। মাঝে দুবাইয়ে তার যাত্রাবিরতির সময় বদলে যায় দৃশ্যপট।
সেখান থেকে সাকিব নিজেই জানান, আপাতত দেশে ফেরা হচ্ছে না তার। নিরাপত্তার কথা ভেবেই সংশ্লিষ্টরা তাকে এমন পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ফলে নিজ ভূমি থেকে টেস্টে বিদায় নেওয়া আর হয়ে উঠল না দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটারের। ভারতের বিপক্ষে কানপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিই ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট হয়ে থাকল সাকিবের।
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply