শব্দদূষণ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আজ (১৫ অক্টোবর) সকালে ১ মিনিট ঢাকা শহরকে শব্দহীন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। ‘শব্দদূষণ বন্ধ করি, নীরব মিনিট পালন করি’ স্লোগানে সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত ১ মিনিট এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় শাহবাগ মোড়ে দেখা যায়, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করে লিফলেট বিতরণ ও হ্যান্ডমাইকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ স্কাউটের সদস্য এবং পুলিশ সহায়তা করছেন।
শাহবাগ ট্রাফিক জোনের পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম মঞ্জুরুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, এটি একটি রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। আমরা এক মিনিট শব্দহীন করতে সর্বোচ্চ সহায়তা করছি। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে শাহবাগ মোড়ে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সালাম সরকার বলেন, আমরা প্রতীকী অবস্থান করে এটি জানাতে চাই যে কীভাবে ঢাকাকে শব্দহীন রাখা যায়। শব্দদূষণের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা শহরের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থান যথা- ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে, শাহবাগ মোড়, উত্তরা, বিজয় সরণি মোড়, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, গাবতলী, মগবাজার, মহাখালী, গুলশান-১, কমলাপুর, বৌদ্ধমন্দির ও যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর এবং সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের স্কাউট সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, ট্রাফিক পুলিশ ও পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যরা ব্যানার, ফেস্টুনসহ উপস্থিত থেকে মানববন্ধন করছেন।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে কতটুকু সফল হয়েছে এই এক মিনিটের নীরবতা?
কার্যত এই এক মিনিটের নীরবতা কেউ পালন করেনি। রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পশ্চিম পান্থপথ একটি ব্যস্ততম সড়ক। এই সড়কে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল রয়েছে। সরকারি বিধিমালা মোতাবেক বানিজ্যিক এলাকায় দিনের বেলায় শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেল। তবে যদি সেই বানিজ্যিক এলাকায় কোন হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত থেকে থাকে তবে তার আশেপাশের ১০০ মিটার এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষণা করা হয়। সেখানে দিনে ৫০ এবং রাতে ৪০ ডেসিবেল শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া আছে।
আর যেকোন স্হানে নিয়মিত মাইক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নিতে হয়। অথচ আমাদের দেশে IPS Battery, Old PC, Monitor, Old TV, CPU, Old Laptop, ঝাড়ু, তরকারি, মাছ, গামছা, লুঙ্গি, শাড়ি, তরি তরকারি, পুরাতন খবরের কাগজ, পুরাতন কাপড়সহ সবকিছুতেই উচ্চ ভলিউমে হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করা হয় যার শব্দ ১০- ১২ তলায়ও শোনা যায়। কেউ প্রতিবাদ করেনা। বয়স্করাতো দিনের বেলায়ও বাড়িতে অবস্থান করেন, তারা চরম ভোগান্তির শিকার।
এসবের জন্য অচিরেই কলাবাগান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষ থেকে কর্মসূচী হাতে নেয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই সংগঠনটি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এর এই কর্মসূচিকে সফল করার জন্য নতুন একটি শ্লোগানের মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরী করার চেষ্টা করে –
“আসুন অভ্যাস বদলাই
অকারণে হর্ণ না বাজাই”।
কিন্তু কার্যত এই শ্লোগান কোন কাজে আসে নি। বিশেষ করে মোটর সাইকেল চালকরা ছিল অপ্রতিরোধ্য। তারা প্রতিদিনের মতই উচ্চমাত্রায় হর্ণ বাজাতে দেখা গেছে।
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply