মিয়ানমারে ক্ষমতা দখলের প্রথমে দিনেই ক্ষমতাচ্যুত অং সান সু চির সরকারের ২৪ জন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছে সেনাবাহিনী। তাদের জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেনা কর্মকর্তাদের।
গতকাল সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানায় বিবিসি। সেনাবাহিনী পরিচালিত টেলিভিশনে নতুন এসব নিয়োগের ঘোষণা দেয়া হয়।
অপরদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং বিবিসি বার্মিজ বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, সু চি সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে নতুন ১১ জন মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে ।
নুতন সামরিক সরকারের মন্ত্রীদের অধিকাংশই সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা। কয়েকজন রয়েছেন সেনা সমর্থিত দল ইউএসডিপির সদস্য। ইউএসপিডির অন্যতম নেতা উনা মং লউনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। জানা গেছে তিনি নবেম্বরের নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন। আপাতত এটা দৃশ্যমান যে, সামরিক সরকার পাকাপোক্তভাবে মিয়ানমারের রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য মসনদে বসেছে।
এদিকে মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে জোর করে ক্ষমতা দখল কখনই দেশটির জনগণ মেনে নেবে না। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই আমরা।
একই সঙ্গে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ।
যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলেছে, সু চিসহ অন্যদের ছেড়ে না দিলে মিয়ানমারের দায়ী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র। গণতন্ত্রের পথে হাঁটা শুরু করার পর এক দশক আগে মিয়ানমারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপকে দেশটির গণতান্ত্রিক উত্তরণকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
রাখাইন রাজ্যে নতুন করে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অধিবাসীদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধ সংঘটন’ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।
নতুন এক প্রতিবেদনে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, ভিন্ন জাতির বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা সেনাবাহিনীর হাতে ঢালাওভাবে গ্রেফতার হওয়ার পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply