কলকাতা পুলিশ এলাকায় মহিলা ভোটকর্মীদের দ্বারা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা এ বার বাড়ছে। ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এই সংখ্যা।
লালবাজার সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, কলকাতার ১২৬টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ৫৮১টি বুথে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন মহিলারা। ভোটগ্রহণের জন্য প্রতিটি বুথে মোট চার জন ভোটকর্মী থাকেন। তার মধ্যে এক জন প্রিসাইডিং অফিসার এবং তিন জন পোলিং অফিসার। মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ওই চার জনই হবেন মহিলা। তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মহিলা জওয়ানদের হাতে। কত কোম্পানি মহিলা কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই সমস্ত বুথ পাহারা দিতে আসবে, তা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি। এর আগে কলকাতা পুলিশ এলাকায় মহিলা কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা এত বেশি কখনওই দেখা যায়নি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, করোনার কথা মাথায় রেখেই এ বার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র এবং বুথের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেই কারণেই রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে এ বার বুথের সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। এ বারের আট দফা ভোটগ্রহণ পর্বে রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ১ লক্ষ ২২ হাজারের কাছাকাছি। কলকাতায় চার দফায় ১৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা। আর ওই ভোটের জন্য ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে ১৭১০টি। আর বুথের সংখ্যা ৫৭১০। আগামী ৬ এপ্রিল কলকাতায় প্রথম দফার ভোটে মহিলা পরিচালিত কোনও ভোটগ্রহণ কেন্দ্র নেই।
এই নির্বাচনের আকর্ষণের মূল কেন্দ্রে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসনটি। এই আসনে এবার লড়ছেন তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর আসনটি ছেড়ে এসেছেন এই আসনে। এখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরই দলের সাবেক মন্ত্রী ও নন্দীগ্রামের সাবেক বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
এই শুভেন্দু অধিকারী গত ডিসেম্বর মাসে মমতার দলের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তখনই শুভেন্দু ঘোষণা দিয়েছিলেন, মমতা যদি তাঁর আসনে লড়তে আসেন, তবে তিনি মমতাকে ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দেবেন। এরপরই শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নন্দীগ্রাম আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মমতা। ফলে, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এবার এই নন্দীগ্রাম আসনই দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে গোটা ভারতে আকর্ষণের মূল কেন্দ্রে উঠে এসেছে, বলা যায় হট কেক।
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply