করোনাকালে আরেকটি ঈদুল আজহা উদযাপিত হলো। মহামারি পরিস্থিতিতে সব আনন্দ-উৎসব এখন ফিকে। বিশেষ দিনগুলোও বিশেষ হয়ে উঠছে না। কিন্তু সময়ের ঘড়ি তো আর থামানো যায় না। ঠিকই বয়ে চলে। বর্ষপঞ্জির পাতাও উল্টাতে হয়। সেভাবেই সময়ের আবর্তনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সামনে আবারও এসেছে ঈদ। সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি দিলেও তাতে যেন ছিল বিধিনিষেধের ছায়া; ঈদ জামাত আর ঘোরাঘুরিতে ছিল স্বাস্থ্যবিধির চাপ।
সরকারি নির্দেশনায় বড় বড় ঈদগাহের বদলে মসজিদে মসজিদে হয়েছে ঈদের নামাজ, সংকট আর মহামারী মুক্তির প্রার্থনা মোনাজাত করেছেন মানুষ। মহামারীর মধ্যে আসা চতুর্থ ঈদের দিনে খবর এল মারণঘাতি ভাইরাসের সংক্রমণে আরও ১৭৩ জনের মৃত্যুর, কম নমুনা পরীক্ষার মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৭ হাজার ৬১৪ জন।
গত কিছু দিন ধরে প্রতিদিন দুই শতাধিক মৃত্যু আর ১১ হাজারের বেশি আক্রান্ত হওয়ায় ঈদের খুশিতে যেন স্বাস্থ্যবিধি না হারায়, সেই আহ্বানই আসছে বারবার। যদিও তা উপেক্ষিত দেখা গেছে ঈদের বাড়ি ফেরা এবং কোরবানির হাটের ভিড়ে।
ফলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ উপেক্ষা করে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে বিধি-নিষেধ থেকে মুক্তির সুযোগ যেভাবে মানুষ নিয়েছে, তাতে ঈদের পরে সংক্রমণ পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়।
পরিস্থিতি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে- সে ইঙ্গিত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, “আমার ভয় লাগে যে, ইন্দোনেশিয়া-ভারত এ পর্যায়ে না আমরা না পৌঁছাই। অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে গিয়ে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১০০০ মৃত্যু হবে না- এটা বলা যাচ্ছে না। আমরা এটা বলতেও ভয় পাচ্ছি। কিন্তু মনে হচ্ছে এটাই হবে।”
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ গজনবী রোডস্থ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) বসবাসরত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণকে ফলমূল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা এ সময় প্রতিটি রাষ্ট্রীয় দিবস এবং উৎসবে তাদের স্মরণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply