আজ ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর সমাধিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং হতদরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে আজ ৮ আগস্ট সকাল ৯ টায় বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু’র নেতৃত্বে বঙ্গমাতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সকাল সাড়ে ৯ টায় হতদরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার ও বস্র বিতরণ এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে উঠার পিছনে যিনি ছিলেন মূল প্রেরণার উৎস তিনিই হলেন মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। জীবনের বেশির ভাগ সময় বঙ্গবন্ধু কারাগার অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে ঐক্যবদ্ধ রেখেছিলেন বঙ্গমাতা। জাতির পিতার নেতৃত্বে বাঙালির সকল অর্জনের পিছনে বঙ্গমাতা অপরিসীম ভূমিকা রেখেছেন বলেই বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা এক ও অভিন্ন। বাংলাদেশের ইতিহাসের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন আজ, তাই বাঙালির সকল লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের মূল প্রেরণাদাত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের এই দিনে (৮ আগস্ট) ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই-দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট।
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বেগম মুজিব তার পিতা-মাতা দুই জনকেই হারান এবং ১৯৩৮ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুধু সহধর্মিণীই ছিলেন না, ছিলেন সহযোদ্ধা ও কর্মপ্রেরণাদাত্রী। এই ত্যাগী মহিয়সী নারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির সেবায় মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, রাজনীতির নানা দুঃসময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন গঠনমূলক পরামর্শ। তার বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী পরামর্শসমূহ জাতির জীবনে সুফল বয়ে এনেছে, যা বাংলার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে দীর্ঘকাল তার পাশে থেকে মানবকল্যাণ ও রাজনীতির যে শিক্ষা তিনি লাভ করেছেন, তাতে তিনি একজন বিদুষী ও প্রজ্ঞাবান নারীতে রূপান্তরিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে ছায়ার মতো অনুসরণ করে তাঁর প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস হয়েছিলেন বেগম মুজিব।
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply