মানভূমে বাংলা ভাষা আন্দোলন ১৯১২ সালে শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯৫৬ সালে অধিকার অর্জনের মাধ্যমে। ১৯০৫ সালে মানভূমকে বিহার-উড়িষ্যাতে সংযুক্ত করা হয়। তৎকালীন বিহার রাজ্যের মানভূম জেলায় বসবাসকারী বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে জোর করে চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করে হিন্দি ভাষা। মানভূমের বাংলা ভাষীরা এই রায় মেনে নিতে পারে নি এবং মানভূমকে বাংলার অন্তর্ভুক্তিরদাবি তোলে; আর এখান থেকেই শুরু হয় মানভূমে বাংলা ভাষার আন্দোলন।
প্রায় ৮৭ শতাংশ বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মানভূমকে চক্রান্ত করে সেদিন বিহারের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল । সেদিন তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল এর বিরুদ্ধে ।
দীর্ঘ আন্দোলনের পর সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়। ১৯৫৬ সালের ১লা নভেম্বর মানভূমের বৃহৎ অংশ নিয়ে জন্ম হয় পুরুলিয়া জেলার। অন্তর্ভুক্তি ঘটে পশ্চিমবঙ্গের।
গতকাল আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা পরিষদের কল্যাণী শাখার উদ্যোগে সেই মানভূম আন্দোলনকে মর্যাদা দিয়ে ১লা নভেম্বর দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্মদিন পালিত
২রা নভেম্বর ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্মদিন । আপনারা জানেন উর্দু এবং ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষাকে তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পাকিস্তান গণপরিষদে সেদিন দীপ্ত ভাষায় গর্জে উঠেছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত । এই ভাষা সৈনিককে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়নামতি সেনানিবাসে নিয়ে গিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়।
আজ ২ নভেম্বর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্মদিন। ১৮৮৬ সালের এই দিনে এই মহান রাজনীতিক, সমাজকর্মী ও ভাষাসৈনিক জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি পাকিস্তান গণপরিষদের অধিবেশনের সর্ব প্রথম সকল কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাতেও রাখার দাবি উত্থাপন করেছিলেন। সেখানেই বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের বীজ রোপিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ রাতে পাক বাহিনী ও তার দোসররা ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও তাঁর ছোট ছেলে দিলীপকুমার দত্তকে ধরে নিয়ে যায় এবং ময়নামতি সেনানিবাসে নিয়ে নির্যাতন করে তাঁদের হত্যা করা হয়। বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের অবদান অবিস্মরণীয়।
গতকাল কল্যাণীর বাংলা ভাষা ভবনে স্মরণ করা হয় ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে।
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply