সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে পণের টাকা চূড়ান্ত হয়েছে। বীমা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জলদস্যুদের সঙ্গে মুক্তিপণের অর্থ নিয়ে দরকষাকষির পর এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। তবে ঠিক কত টাকা জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করতে জলদস্যুদের দেওয়া হবে, তা প্রকাশ করা হয়নি। মুক্তিপণ কোন প্রক্রিয়ায় দস্যুদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে, এখন আলোচনা চলছে সেটি নিয়ে। এর পর ঠিক করা হবে কবে জিম্মি নাবিকরা মুক্তি পাবেন।
জানা গেছে, ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে রাখতে চাচ্ছে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। সেভাবে কাজ করতে বীমা প্রতিষ্ঠানকে চাপও দিচ্ছে তারা। তবে জলদস্যুরা মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো দিনক্ষণ ঘোষণা করতে চাচ্ছে না। মূলত মালিকপক্ষকে মনস্তাত্ত্বিক চাপে রাখতে এমন কৌশলে এগোচ্ছে জলদস্যুরা।
এদিকে মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের মুক্ত করার বিষয়ে অগ্রগতির কথা স্বীকার করেছে কেএসআরএম গ্রুপ। তবে মুক্তিপণের অঙ্ক কত, এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিচ্ছে না তারা।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে জিম্মি বাংলাদেশি নাগরিকরা ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ হয়েছে এবং তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা আশা করছি, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সহসা আমাদের নাবিকদের মুক্ত করতে পারব। জাহাজটিও মুক্ত করতে পারব।’
জিম্মি ২৩ বাংলাদেশির খাবারের সংকট নেই জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নাবিকরা সবাই ভালো আছে, তারা কেবিনে আছে, খাবার-দাবারের কোনো সমস্যা নেই। নাবিকদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ এ পর্যন্ত করা হয়নি।’
Design & Developed By: RTD IT ZONE
Leave a Reply