মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড: ডিসেম্বরে কমিশন: আইনমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২
  • ১৭৬ বার দর্শন

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারী কারা ছিল, তা উদ্ঘাটনে এ বছরের ডিসেম্বরেই কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে তিনি বলেছেন, “একটা দায়বদ্ধতা থেকে এই মহান সংসদে ঘোষণা দিতে চাচ্ছি, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের পরে এই বছর (২০২২ সাল) শেষ হওয়ার আগে আমরা কমিশন অব ডকুমেন্টস অ্যাক্টের আন্ডারে একটি কমিশন গঠন করব।

“সেই কমিশন এই কাজটি করে রিপোর্ট দেবে। হত্যার নেপথ্যে যারা ছিল, তাদের পরিচয় উদঘাটন করে দেবে।” স্বাধীনতার চার বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র থাকার কথা বরাবরই বলা হচ্ছে।

নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বিচারে সরাসরি খুনিদের সাজার রায় এলেও নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীরা বাইরেই থেকে গেছে। আবার খুনিদের কয়েকজনও বিদেশি পালিয়ে আছেন। এই অবস্থায় সংসদের ভেতরে ও বাইরে দাবি ওঠার পর একটি কমিশন গঠনের কথা আইনমন্ত্রী আগেও বলেছিলেন। তিনি এর আগেও বলেছিলেন, মহামারী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে কমিশন গঠন করা হবে, যাতে ‘ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে’ তাদের নাম জনসম্মুখে প্রকাশ করা যায়।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ১৯৮১ সালে যুক্তরাজ্যে একটি অনুসন্ধান কমিশন গঠন করা হয়েছিল। তবে সে কমিশনের সদস্যদের বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হয়নি।

তখন বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি ছিলেন জিয়াউর রহমান, যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন। পরে ১৯৮২ সালের ২০ মার্চ যুক্তরাজ্যের এই কমিশন তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে আইনি ও বিচার প্রক্রিয়াকে তার নিজস্ব পথে এগোতে দেওয়া হয়নি। আর এজন্য তখনকার সরকারই দায়ী।

নতুন করে কমিশন গঠনের পেছনে ১৫ অগাস্টের ঘটনায় জিয়াকে জড়ানোর উদ্দেশ্য রয়েছে বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন।

সংসদে আনিসুল হক বলেন, “কোনো প্রতিহিংসামূলক বা প্রতিশোধের জন্য নয়, এই কমিশনের দায়িত্ব হবে নতুন প্রজন্মকে বেঈমানদের চিহ্নিত করে যাওয়া।

“নতুন প্রজন্ম, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা দায়বদ্ধ থাকব, আমরা যদি এইসব বেঈমান, যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তাদেরকে নতুন প্রজন্মের কাছে চিহ্নিত করে না দিয়ে যেতে পারি।”

খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বিএনপির দাবির প্রসঙ্গ তুলে আইনমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি চোখ বন্ধ করে রাজনীতি করেন না কি, চোখ খুলে দেখেন না। এটা বুঝতে পারি না।”

শর্তসাপেক্ষে কারামুক্ত খালেদার চলাফেরায় সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “দুই/তিন দিন আগে উনি (খালেদা জিয়া) কারও পারমিশন না নিয়েই এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজকে সন্ধাবেলা কারও পারমিশন না নিয়েই আবার বাসায় ফিরে এসেছেন।”

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

Address

Registered Office: 44/1 North Dhanmondi (5th Floor) Kalabagan, Dhaka- 1205, Bangladesh Email: kalabaganbarta@gmail.com / admin@kalabaganbarta.com Telephone: +88-02-58154100 Editorial Office: Karim Tower 44/7-A&B, West Panthapath, Kalabagan, Dhaka-1205

Correspondences

USA: Mainul Haq (Atlanta) Kolkata: Sunirmal Chakraborty Mobile: +91-8017854521 Ashim Kumar Ghosh Address: 3D K.P Roy Lane, Tollygunge Phari Kolkata- 700 033, WB, India Mobile: +91-9874891187                                                                                                           S. M. Ashikur Rahman (Technical Adviser)
Author: Masud Karim © All rights reserved 2020. Kalabaganbarta

Design & Developed By: RTD IT ZONE